অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : সুইডেনের শহর ফুরুভিকের চিড়িয়াখানা থেকে পালিয়ে গিয়েছিল পাঁচটি শিম্পাঞ্জি। তিনটিকে গুলি করে মারা হলো।
চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ একটি বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছেন, মোট সাতটি শিম্পাঞ্জি ছিল। তার মধ্যে বুধবার (১৪ ডিসেম্বর) পাঁচটি পালিয়ে যায়। বৃহস্পতিবার (১৫ ডিসেম্বর) তিনটি শিম্পাঞ্জিকে মানুষের নিরাপত্তার কথা ভেবে গুলি করে মারা হয়েছে।
চতুর্থ শিম্পাঞ্জিকেও গুলি করা হয়েছিল। সে আহত হয়েছে। তবে মারা যায়নি। পরে আরেকটি বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, বাকি শিম্পাঞ্জি চিড়িয়াখানায় আছে। তবে তারা সেখানে নিরাপদ বোধ করছে না।
সাধারণত চিড়িয়াখানা থেকে কোনো পশু পালিয়ে গেলে তাদের ঘুমের ওষুধ মেশানো তির দিয়ে ঘুম পাড়ানো হয়। তারপর ধরে আবার খাঁচায় পোরা হয়। কিন্তু এক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, শিম্পাঞ্জির উপর ঘুমের ওষুধ কাজ করতে গেলে খুব কাছ থেকে তির ছুঁড়তে হতো। সেজন্য গুলি করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল।
কর্তৃপক্ষের দাবি, শিম্পাঞ্জি দেখতে শান্ত হলেও খুবই বিপজ্জনক পশু। তারা খুবই দ্রুত চলে, তাদের কোনো ভয়ডর নেই এবং তারা খুবই শক্তিশালী। তারা কোনো মানুষের জীবন বিপন্ন করতে চাননি।
তাই ঘুমপাড়ানি তির চালাননি। ওই তির শুধু যে খুব কাছ থেকে চালাতে হয় তাই নয়, শিম্পাঞ্জির শরীরে তার প্রতিক্রিয়া হতে ১০ মিনিট সময় লাগে। চিড়িয়াখানায় পশুর খুবই যত্ন নেয়া হয়। তারা পশু খুবই ভালোবাসেন। কিন্তু এক্ষেত্রে চরম সিদ্ধান্ত না নেয়া ছাড়া আর কোনো উপায় ছিল না।
কর্তৃপক্ষের দাবি, বাকি শিম্পাঞ্জিগুলো এখন চিড়িয়াখানার মধ্যে আছে, কিন্তু তাদের জন্য নির্ধারিত ঘেরা জায়গায় আনা যায়নি। ওই ঘেরা জায়গায় ভাঙা অংশটি সারানো হচ্ছে। তাই এখন কাউকে সেখানে ঢুকতে দেয়া হচ্ছে না।
তবে চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষের কথা নিয়ে বিভ্রান্তি দেখা দিয়েছে। প্রথমে তারা জানান, চারটি শিম্পাঞ্জি পালিয়েছিল। তিনটিকে মারা হয়েছে। একটি আহত। তারপর তারা জানাচ্ছেন, বাকি শিম্পাঞ্জি ভিতরে আছে, তবে ঘেরা জায়গায় নেই।
প্রশ্ন হলো, তাহলে সেগুলো কোথায় আছে? কী করে তাদের সেখানে রাখা হয়েছে? চিড়িয়াখানার কর্মীদের বাইরে চলে যেতে বলা হয়েছে।
সুইডেনে চিড়িয়াখানা থেকে পশুদের পালানোর নজির আছে। অক্টোবরের শেষে স্টকহোমের ওপেন এয়ার মিউজিয়াম থেকে একটি কিং কোবরা পালায়। তার কয়েকদিন পরে সে নিজে থেকেই আবার চলে আসে। চিড়িয়াখানা থেকে দুইটি ধুষর প্যাঁচাও পালিয়েছিল। পরে তারা আবার নিজে থেকেই চলে এসেছে।
Leave a Reply